পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে আবারও শুল্ক বাড়াতে যাচ্ছে ভারত সরকার। তবে নতুন করে কী পরিমাণ শুল্কারোপ হবে তা এখনো জানা যায়নি। এমন খবর মোবাইল ফোনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের আমদানিকারকদের জানিয়েছেন। ৪০ শতাংশ শুল্কারোপের সপ্তাহ পার না হতেই নতুন করে শুল্কারোপ করলে পণ্য আমদানিতে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকদের মোবাইল ফোনে নতুন শুল্কারোপের তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার থেকেই নতুন এ শুল্কায়ন মূল্য কার্যকর হবে বলেও ভারতীয় রপ্তানিকারকরা জানান।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশের বিভিন্নস্থানে অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সে দেশের বাজারেই পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে গত ১৯ আগস্ট ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, চলতি মাসের ১৯ আগস্ট (শনিবার) ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর এক সপ্তাহের মাথায় নতুন করে আবারও শুল্কায়ন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে কী পরিমাণ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে এটা এখনো পরিষ্কার নয়।
তিনি আরও বলেন, এতদিন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা ১৫০-২০০ মার্কিন ডলার মূল্যে যে এলসি খুলতাম এর ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করেই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করতো ভারত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তারা নতুন নির্দেশনা জারি করেছে, যে মূল্যেই এলসি করা হোক না কেন ভারতীয় কাস্টমসে প্রতি টন পেঁয়াজের ৩২৫ মার্কিন ডলার শুল্কায়ন মূল্য ধরে শুল্ক পরিশোধ করেই পেঁয়াজ রপ্তানি করতে হবে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কায়ন মূল্য ৩২৫ মার্কিন ডলার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো নোটিফিকেশন এখনো পাওয়া যায়নি।