বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

পানিতে তলিয়ে রয়েছে চিলমারীর হরিজন পল্লী

আরব-বাংলা রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ৬:৫৫ am

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে কুড়িগ্রামে চিলমারী উপজেলায় সদ্য নির্মিত আবাসন প্রকল্পের হরিজন পল্লী এক সপ্তাহে ধরে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্ভোগের মাঝে বসবাস করছেন পল্লীর ৩০টি পরিবারের দেড় শতাধিক মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সবুজপাড়া এলাকায় নিচু জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য আবাসনের ঘর। কিন্তু এখনও নির্মাণ করা হয়নি পল্লীতে যাওয়ার রাস্তা। নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও। এতে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এই পল্লীতে। সড়কপথ না থাকায় হাঁটু আর কোমর পানি ডিঙিয়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সন্ধানে বেরুতে হচ্ছে তাদের।

হরিজন পল্লীর বাসিন্দা শ্রী মনি লাল বলেন, সামান্য বন্যার পানিতেই তলিয়ে গেছে আমাদের হরিজন পল্লী। ৭/৮ দিন ধরে এ অবস্থায় পড়ে আছি। আর একটু পানি বাড়লে হরিজন পল্লী ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

একই পল্লীর শ্রী রুমা রাণী জানান, ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায আছি। ঠিক মতো বেড়াতে পারছি না। দুর্ভোগে আছি।
হরিজন পল্লীতে বসবাসকারীরা জানান, কয়েকদিন ধরে এভাবে পানিবন্দি থাকলেও এখনো সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহায়তা পাননি তারা।

এদিকে উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলো।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে অন্যান্য নদ-নদীর পানিও। বড় কোন বন্যার আশংকা নেই। পানি কমতে শুরু করলে নদ-নদীর অববাহিকার পানি নেমে যাবে।

চিলমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাফিউল আলম জানান, হরিজন সম্প্রদয়সহ পানিবন্দি মানুষদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা প্রণয়ন হলে তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

আরো
© All rights reserved © arabbanglatv

Developer Design Host BD