পরকীয়ার মাধ্যমে পরিবারের সম্মানহানি করায় পাকিস্তানের আদিবাসি এক নারীকে পাথর নিক্ষেপ করে ও ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করেছে তার স্বামী। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজাপুর জেলায় অত্যন্ত রোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে শনিবার দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, আলকানি আদিবাসি গোষ্ঠীর ওই নারী একজন পুরুষের সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। পরে তার স্বামী, দেবর ও তার সহযোগীরা তাকে পাথর নিক্ষেপ করে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। শুধু তাই নয়, তার মাথাও ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে।
পরে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই নারী। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহভাজনরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
রাজাপুর জেলার চুচা সীমান্ত সামরিক পুলিশ (বিএমপি) থানায় সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ডন বলছে, প্রায় দুই বছর আগে ওই নারী স্থানীয়ভাবে আউস (আগুনের মাধ্যমে বিচার) ও আউফ (পানি নিচের বিচার) নামে একটি উপজাতীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। যেখানে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য জ্বলন্ত কয়লার ওপর হাঁটেন অথবা নিশ্বাস ফুরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত পানির নিচে থেকে যান।
সূত্র বলেছে, ওই নারী তার পায়ে কোনও ধরনের জখম হওয়া ছাড়াই সফলভাবে জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে হেঁটে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছিলেন।
রাজাপুরের রাজনীতিক কাসিম গিল ডনকে বিবাহিত ওই নারীকে তার স্বামী, দেবর এবং তাদের সঙ্গীরা সম্মান রক্ষায় পিটিয়ে ও পাথর ছুঁড়ে হত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র: ডন।