বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রায় চূড়ান্ত। রোববার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার অবকাঠামো বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক পঙ্কজ গুপ্তা-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। এসময় তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎকালে কৌশলগত পলিসি সংলাপ, ভবিষ্যতের সম্পৃক্ততা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পোর্টফলিও সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, ক্রস বর্ডার ট্রেড, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, লিথিয়াম ব্যাটারি, লেড ব্যাটারি, গ্যাস মিটার, জ্বালানি নিরাপত্তা পাওয়ার সিস্টেম হালনাগাদকরণ, স্মার্ট গ্রিড, অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ, সঞ্চালন ব্যবস্থা, গ্যাস পাইপলাইনসহ ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
পঙ্কজ গুপ্তা বলেন, বাংলাদেশে আনন্দের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে চাই। জ্বালানি নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা সংক্রান্ত প্রকল্পে অর্থায়ন এবং বেসরকারি অর্থায়ন ও বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে সহযোগিতা করা যেতে পারে। এসময় তিনি গ্যাস মিটারিং প্রকল্পের দ্রুততম কার্যক্রমের ওপর জোর দেন।
প্রতিমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক পরিচালিত চলমান ও আগত প্রকল্প নিয়ে আলোকপাত করে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে পাওয়ার হাব নির্মিত হচ্ছে। সেজন্য সঞ্চালন লাইন ও স্মার্ট গ্রিডে প্রস্তুতকরণের অর্থায়ন প্রয়োজন। উইন্ড ম্যাপিং হয়ে গেছে। প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব খাতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। পুরাতন গ্যাস পাইপ লাইন নতুন করে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংককে আরও বড় পরিসরে আমাদের পাশে চাই। নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রায় চূড়ান্ত। আমরা নেপাল থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে চাই। যাতে শীতকালে বিদ্যুৎ নেপালে রপ্তানি করতে পারি। বিশ্বব্যাংক এক্ষেত্রে অর্থায়ন ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে পারে।
আলোচনাকালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবীর, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নুরুল আলম, বিশ্বব্যাংকের এনার্জির প্র্যাকটিস ম্যানেজার সাইমন জে. স্টল্প, বিশ্বব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার গেইল মার্টিন উপস্থিত ছিলেন।