এক সময় তার দলে থাকা নিয়ে ছিল অনেক প্রশ্ন। ব্যাট হাতে ম্যাচের পর ম্যাচ রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত দলে শুধু জায়গা পাকা করেননি, নিজেকে পরিণত করেছেন অপরিহার্য সদস্য হিসেবে। সেই শান্তর এবার নেতৃত্বের অভিষেক হতে যাচ্ছে।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শান্তর নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ। ১৬তম অধিনায়ক হিসেবে শান্ত বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন। ২৬ সেপ্টেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানিয়েছেন নেতৃত্ব দেওয়া গর্বের বিষয়, তিনি উপভোগ করবেন, ‘আমার মনে হয় একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমার জন্য অনেক গর্বের ব্যাপার। সাথে সাথে আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য অনেক গর্বের ব্যাপার। ক্রিকেট বোর্ড এই সুযোগটা তৈরি করে দিয়েছেন খুবই রোমাঞ্চিত এবং উপভোগ করবো।’
শান্ত বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৭৭টি ম্যাচ খেলেছেন। সর্বোচ্চ ২৯টি ম্যাচ খেলেছেন ওয়ানডে সংস্করণে। ২ সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে এই সংস্করণে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৩২ রান। এ ছাড়া ২৩ টেস্টে ১২৮৩ ও ২৫ টি-টোয়েন্টিতে ৫৬৬ রান করেন।
২০১৮ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় শান্তর। তারও ১ বছর আগে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব শুরু করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শান্ত নিজেকে এমন অবস্থায় নিয়ে এসেছেন, তার কাঁধে নেতৃত্বের ভার দিতে বেশি ভাবতে হয়নি টিম ম্যানেজম্যান্টকে। যদিও তা ১ ম্যাচের জন্যই।
নিজের ক্রিকেট জার্নি নিয়ে শান্তর ভাষ্য, ‘জার্নির কথা যেটা বলি, শুরু থেকে খুবই ভালো যাচ্ছে। এখনও অনেক দূর যাওয়া বাকি। উপভোগ করেছি। প্রত্যেকটা সময় উপভোগ করেছি। ভালো সময় বলেন বা খারাপ সময় বলেন। প্রত্যেকটা সময় উপভোগ করার চেষ্টা করেছি।’
‘ভবিষ্যতে যদি ওই সুযোগ আসে দলের দেশের হয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার অবশ্যই ওইটা করার চেষ্টা করব। এবং এটা আসলে আমার মনে হয় প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন। যে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। এটা আমার এখন পর্যন্ত আসছে। ভবিষ্যতে যদি আবার সুযোগ আসে, আবার ভালোভাবে করার চেষ্টা করব’-যোগ করেন শান্ত।
নিউ জিল্যান্ড সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে বিশ্রাম দিয়ে লিটন দাসের নেতৃত্বে দল দেওয়া হয়েছিল। দুই ম্যাচ পর লিটনকেও বিশ্রাম দেওয়ায় শান্তর কাঁধে আসে নেতৃত্বের ভার। শান্ত বেশি কিছু ভাবতে চান না, উপভোগ করে যেতে চান। ভবিষ্যতে এমন সুযোগ আসলে ভালো করেই কাজে লাগাতে চান। বাকিটা বলে দেবে সময়।