ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (২৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামলা কপি ভাইরাল হয়।
উপজেলার আলমনগর গ্রামের সমাজসেবিকা নারী উদ্যোক্তা সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। মামলায় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক মামলা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, পৌর এলাকার আলমনগর গ্রামের আবদুল কুদ্দুস মিয়ার স্ত্রী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের সঙ্গে একই গ্রামের নসু মিয়ার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন পুতুলের সামাজিক বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে বিভিন্ন সময় নিলুফা পুতুলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা, কুৎসিত, অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য সম্বলিত বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার করেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল বলেন, ‘আমি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে জড়িত। আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার কারণের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সমর্থন ও ভালোবাসায় আসন্ন কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপোষণ করায় ইর্ষান্বিত হয়ে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা, কুৎসিত, অশ্লীল ও মানহানিকর বক্তব্য ছড়াচ্ছে।’
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মিথ্যা ও ভুয়া মামলার বিষয়ে আমি অবগত নই।’ মামলার অভিযোগ সত্য কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার বাসায় মেহমান এসেছে, এখন কথা বলতে পারব না।’ পরে সংযোগ কেটে দেন।
সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বাদীর উকিল স্বরুপ কান্তি নাথ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।