নামাজের প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমার পর ছানা পাঠ করা সুন্নত। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَسْتَفْتِحُ صَلَاتَهُ يَقُولُ: سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
‘আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজ শুরু করে (তাকবীরে তাহরীমার পর) বলতেন, সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা (হে আল্লাহ! আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বরকতপূর্ণ, আপনার মাহাত্ম সুউচ্চ এবং আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই)।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৮০৪)
সাহু সেজদা আবশ্যক হয় নামাজেরর কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে বা আগ পিছ হলে। যেহেতু সানা পাঠ করা সুন্নত তাই তা উচ্চস্বরে পাঠ করার কারণে সাহু সেজদা আবশ্যক হবে না। -(ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৩৯৬)
সাহু সিজদা যেভাবে দেবেন
সাহু সিজদার সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে— সাহু সিজদা যার ওপর ওয়াজিব হয়েছে, সে শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ে ডান দিকে এক সালাম ফেরাবে। এরপর তাকবির বলে নামাজের মতো দুইটি সিজদা করে বসে যাবে এবং তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে। সালামের আগে সিজদা করলে নামাজ হয়ে যাবে। তবে তা মাকরুহে তানজিহি। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৮১৮৮; বুখারি, হাদিস : ১১৫০-১১৫৩; তিরমিজি, হাদিস : ৩৬১)