আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন সামনে রেখে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে দিল্লি প্রশাসন। বলা হয়েছে, জোমাটো, সুইগি ও অ্যামাজনের মতো জনপ্রিয় অনলাইন পরিষেবা তিন দিন বন্ধ থাকবে। সম্মেলনের দিনগুলোতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এদিকে পণ্য ও ফুড ডেলিভারি সেবা বন্ধ থাকলে দিল্লিবাসীর একাংশ সমস্যার সম্মুখীন হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে বসতে যাচ্ছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। ৮ তারিখ থেকে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি প্রতিনিধিরাও আসতে শুরু করবেন দিল্লিতে। সেই উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তায় মুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে দেশটির রাজধানী। নিরাপত্তার জন্য ইতোমধ্যে সম্মেলনের দিনগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও অফিস বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো বড় তিন প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারি সেবাতে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডি টিভির খবরে বলা হয়, নিরাপত্তার জন্য আগামী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো খাদ্য ও পণ্য সরবারহ করতে পারবেন না। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় পরিষেবা চালু করতে পারবে।
দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ কমিশনার এসএস যাদব জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে জোমাটো, সুইগির মতো অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলোকে রান্নাঘর ও খাদ্য বিতরণ পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আমাজন ও ফ্লিপকার্টের মতো ডেলিভারি সংস্থাগুলোর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র অনলাইন ওষুধ পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ওষুধের পাশাপাশি ল্যাব রিপোর্ট ও নমুনা সংগ্রহসহ অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা পরিষেবার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাও খোলা থাকবে। এছাড়া ডাক পরিষেবাও চালু থাকবে।
প্রসঙ্গত, জি-২০ সম্মেলনের দিনগুলোতে দিল্লির সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাজার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও।