বাংলাদেশে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টে (ইউএসএআইডি) নতুন মিশন পরিচালক করা হয়েছে রিড এশলিম্যানকে। দায়িত্ব পালনের জন্য ইতিমধ্যে ঢাকায় এসেছেন এশলিম্যান।
রোববার (২০ আগস্ট) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ইউএসএআইডির নতুন মিশন ডিরেক্টর এশলিম্যানকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস শুভেচ্ছা জানায়।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র মিশনে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বে যোগ দিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে অভিজ্ঞ মিশন ডিরেক্টর এশলিম্যান।
তিনি খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সুশাসনসহ প্রধান উন্নয়ন উদ্যোগগুলোতে প্রধান কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এশলিম্যান বলেন, ঢাকায় এসে আমি উচ্ছ্বসিত। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশটিকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সহায়তার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার অপেক্ষায় আছি।
এশলিম্যান যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের একজন ক্যারিয়ার মেম্বার। বাংলাদেশে মিশন ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে, এশলিম্যান ২০২২-২০২৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে ও ২০১৮ -২০২২ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপে ইউএসএআইডি-এর মিশন ডিরেক্টর হিসেবে এবং ফিলিপাইন ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া এবং ভারতে নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পাশাপাশি তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএসএআইডি’র এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোতে উপ-সহকারী প্রশাসক এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, শিক্ষা ও পরিবেশ বিষয়ক ব্যুরোতে শক্তি ও অবকাঠামো কার্যালয়ের ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০০ সালে ইউএসএআইডিতে যোগদানের আগে, রিড এশলিম্যান থাইল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্র পিস কর্পস-এ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি ওহাইওর অ্যাক্রন শহরের সহকারী আইন পরিচালক হিসেবে চর্চা করেছেন এবং ওহাইও-এর কলম্বাসে ব্যক্তিগতভাবে চর্চার সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীনে আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে ছিলেন।
রিড এশলিম্যান ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অধ্যয়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং অ্যাক্রন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুল থেকে জুরিস ডক্টরেট অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ইউএসএআইডির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার খাদ্য, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা প্রদান, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণুতা বাড়াতে বাংলাদেশের জনগণ এবং এর সরকারের সাথে কাজ করে আসছে।