বিশ্ব নেতারা জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের জন্য মঙ্গলবার জড়ো হবেন। সেখানে তারা বিশ্ব সংস্থাটিকে বিভক্ত-কারি ইউক্রেন যুদ্ধের ওপর আলোকপাত করবেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকবেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একই দিন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতা দিবেন। জেলেনস্কি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে বিখ্যাত রোস্ট্রামে ভাষণ প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্যা সিলভাসহ ভিন্ন মতের নেতাদের সাথে দেখা করতে প্রস্তুত। লুলা দ্যা সিলভা এরআগে ইউক্রেনকে যুদ্ধের জন্য দায়ী করেন এবং কিয়েভকে বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তায়তার প্রতি দোষারোপ করেন।
অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা জেলেনস্কি বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের ওপর একটি বিশেষ অধিবেশনেও অংশ নেবেন। নিরাপত্তা পরিষদের একটি স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়া বাধ্যতামূলক পদক্ষেপের ওপর ভেটো প্রদান করতে পারে।
ইউক্রেনিয় সৈন্যদের চিকিৎসা প্রদানকারি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতাল পরিদর্শনকালে বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জেলেনস্কি বলেন, জাতিসঙ্ঘ এখনো ‘রুশ সন্ত্রাসীদের জন্য অভয়ারণ্যে’।
তিনি এর আগে সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসঙ্ঘ সম্মেলনে যোগ না দেয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একজন ‘দ্বিতীয় হিটলার’ বলে মন্তব্য করেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘বিশ্বকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমরা পুতিনকে থামাতে চাই নাকি বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে চাই।’
রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য সাধারণ পরিষদে কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে, তবে যুদ্ধের ওপর ফোকাস রাখা উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমালোচনাও করেছে।
জেলেনস্কি জাতিসঙ্ঘে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উভয়ই রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। পাশাপাশি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সাথেও দেখা করতে পারেন।
জাতিসঙ্ঘে জার্মানির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শোলজ ‘বিশ্বে নতুন ফাটল উন্মোচন’ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদ আবারো তাদের চিরাচরিত চেহারা দেখাচ্ছে।
এরদোগান মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। তিনি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি প্রধান রুটির বাস্কেট হিসেবে পরিচিত ইউক্রেনকে, কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে শস্য সরবরাহের রাশিয়ার স্থগিত করা জাতিসঙ্ঘ-সমর্থিত ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।
জেলেনস্কি পরে বাইডেনের সাথে হোয়াইট হাউজে সাক্ষাৎ করার জন্য ওয়াশিংটনে যাবেন।