টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয়ের ধারায় ফিরেছে রংপুর রাইডার্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় পর্বে ঢাকায় ফিরেই তারা হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। নিয়মিত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ফেরার দিনে শোয়েব মালিকের বিধ্বংসী ইনিংস আর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সাগরপাড়ের বিভাগটিকে তারা হারিয়েছে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল রংপুর রাইডার্স। চোট সেরে আবার মাঠে ফিরেছেন দলটির নিয়মিত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তবে ইনিংসের শুরুতেই তারা উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। ৮.৩ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪৭ রান তুলতেই নেই তিন টপ অর্ডার। পরে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক ও আফগান ব্যাটার আজমতউল্লাজ ওমরজাই মিলে গড়েন ১০৫ রানের জুটি। ৪৫ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কায় শোয়েব খেলেন ৭৫ রানের এক ইনিংস। ওমরজাই আউট হন ৪২ রান করে। তার ব্যাট থেকে আসে চারটি ছক্কা ও একটি চার। তাতে ১৭৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রংপুর।
চট্টগ্রামের মেহেদী হাসান রানা শিকার করেছেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। তবে এর জন্য খরচ করেছেন ৩৯ রান। অন্যদিকে দলটির অধিনায়ক শুভাগত হোম ৩ ওভার বল ঘুরিয়ে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট। একটি উইকেট পেয়েছেন ভিজয়াকান্থ।
১৮০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে চট্টগ্রামের শুরুটাও হয় অনেকটা রংপুরের মতোই। তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই নেই তাদের তিন টপ অর্ডার। পরে হাল ধরেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। সঙ্গী হিসেবে পান দরবেশ রাসুলিকে তারা দুজন মিলে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। পরে জিয়াউর রহমান নেমে ঝড় তুললেও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তার বিদায়ের পর চট্টগ্রামের ব্যাটিং অর্ডারে যেন ধ্বস নামে। ১৬.৩ ওভারে মাত্র ১২৪ রানেই তারা গুটিয়ে গেলে ৫৫ রানের জয় নিশ্চিত হয় রংপুর রাইডার্সের।
চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন শুভাগত। ৩১ বল খেলা এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে চারটি করে ছক্কা ও চার। ১২ বলে তিন ছক্কা ও ১ চারে ২৪ রান করে আউট হন জিয়াউর রহমান। ২১ রান করেন দরবেশ রাসুলি।
১৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে রংপুরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হারিস রউফ। দুই উইকেট পেয়েছেন রাকিবুল হাসান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ওমরজাই, হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান।