চলতি বছরে দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ তথ্য জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌদির যুবরাজের সম্ভাব্য সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাকে (সালমানকে) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উনি (যুবরাজ) আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন। আমরা এ বছরের দ্বিতীয় হাফে তার সফর কীভাবে হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা করছি।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, সৌদির সঙ্গে আমাদের উষ্ণ সম্পর্ক। গত কয়েক বছরে সৌদির সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক হয়েছে। এতদিন আমাদের সম্পর্ক শুধুমাত্র জনশক্তি রপ্তানি, হজ এগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন আমাদের সম্পর্ক বিনিয়োগ, বাণিজ্যে বিস্তৃত হয়েছে।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সৌদিকে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে ৩০০ একর জমির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটি নতুন করে আরও ৩০০ একর জমি চায় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিরসরাইয়ে সৌদিকে ৩০০ একর জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আরও ৩০০ একর জমি তারা চায়। আমরা এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি।
হাছান মাহমুদ বলেন, একইসঙ্গে সৌদি এনার্জি সেক্টরে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। গ্রিন এনার্জি সেক্টরে তারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তারা চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বন্দরে প্রজেক্ট নিতে যাচ্ছে। সেখানে তারা ১. ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
সৌদির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানসহ বৈধ পথে রেমিট্যান্স কীভাবে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গাজা ইস্যু এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান জানান, গাজায় যে মানবিক বিপর্যয়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। নারী ও শিশু হত্যাযজ্ঞ বন্ধে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। গাজায় যাতে যুদ্ধ বিপর্যয় কাটানো যায় এবং মানবিক সহায়তা আরও চাহিদা অনুযায়ী করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন।