রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন

গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে ১ শিশুর মৃত্যু

আরব-বাংলা রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩ ৪:৩৩ am

ফিলিস্তিনের গাজায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। শুধু শিশু নয়, গাজার কোনো জায়গাই নিরাপদ নয় এবং কেউই নিরাপদে নেই বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

স্থানীয়রা জানায়, গাজায় হাসপাতালগুলো ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার থেকে আল-শিফাসহ চারটি হাসপাতাল ঘিরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি, আল শিফার নিচে হামাস তাদের কমান্ড সেন্টার তৈরি করেছে। যদিও হামাস এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

এ ঘটনায় ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বর্তমানে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে তিনি আরও বলেন, গাজার ৩৬ টি হাসপাতালের অর্ধেক এবং ভূখণ্ডটির প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই এখন অকেজো। নাগালের বাইরে চলে গেছে বাকি সক্রিয় হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো।

চেতনা নাশক ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে টেড্রোস বলেন, গাজার হাসপাতালের করিডোর পর্যন্ত আহত, অসুস্থ, মৃত ব্যক্তিদের ভিড়ে ভরে গেছে। মর্গ উপচে পড়ছে।

এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ হাজার। উপত্যকাটিতে হামলার তীব্রতা বাড়ায় গেল দুদিনে গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণে সরে গেছে এক লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। সরে পড়া বাসিন্দারা হাসপাতালসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি হামলায় উত্তর গাজা নরকে পরিণত হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের একচেটিয়ে সমর্থন দেয়ায় কড়া সতর্কবার্তা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। আরব বিশ্বের মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র আরব জনগণের একটি প্রজন্মের সমর্থন হারাতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এছাড়া ওই প্রজন্ম ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ বলে মনে করছে।

এদিকে, গাজায় বোমাবর্ষণ ও বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এছাড়া অঞ্চলটিতে যুদ্ধ বিরতি হলে ইসরায়েল উপকৃত হবে বলেও মনে করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশের নেতারা এই যুদ্ধবিরতির আহ্বানে যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ম্যাঁখো।

শেয়ার করুন

আরো
© All rights reserved © arabbanglatv

Developer Design Host BD