কানাডায় যারা আছেন এবং যারা যেতে চান, সেই সব ভারতীয়দের জন্য অ্যাডভাইসারি জারি করলো ভারত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কানাডায় ক্রমবর্ধমান ভারত-বিরোধী কাজকারবার হচ্ছে এবং যেভাবে হেট-ক্রাইম ও অন্য অপরাধকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমা করা হচ্ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয়রা যেন চূড়ান্ত সতর্ক থাকেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যারা ভারত-বিরোধী কর্মসূচির বিরোধিতা করেছেন, তাদের ও কূটনীতিকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যেসব জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, সেই সব জায়গায় যেন ভারতীয় নাগরিকরা না যান।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আমাদের হাই কমিশনার ও কনসাল জেনারেলরা কানাডার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু খারাপ সুরক্ষা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা যেন চরম সতর্কতা বজায় রাখেন।
বলা হয়েছে, কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক ও ছাত্ররা যেন হাই কমিশন বা কনসুলেটে তাদের নাম নথিভুক্ত করেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই তারা এই কাজ করতে পারবেন। এর ফলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে ভারতীয়দের সঙ্গে আরো ভালোভাবে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হবে।
এর আগে ট্রুডো জানিয়েছিলেন, কানাডার নাগরিক ও শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার ক্ষেত্রে একজন ভারতীয় কূটনীতিক জড়িত। এরপর সেই কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। কানাডার মন্ত্রী বলেন, ওই কূটনীতিক ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা।
ভারত পাল্টা জানায়, কানাডা মিথ্যা অভিযোগ করেছে। শিখ নেতাকে হত্যার সঙ্গে ভারত কোনোভাবে জড়িত নয়।
সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও সাবেক আইপিএস শান্তনু মুখোপাধ্যায় বলেছেন, কোনো তথ্যপ্রমাণ না দিয়ে এই ধরনের অভিযোগ মেনে নেওয়া যায় না।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ওয়াটসন বলেন, আমরা ট্রুডোর অভিযোগ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা কানাডার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কানাডার তদন্ত শেষ করা ও দোষীদের শাস্তি দেওয়াটা খুবই জরুরি।
প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, আমরা চাই ভারত যেন এই তদন্তে সহযোগিতা করে।