মশার ওষুধে মশা মরে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘ডে’ উপলক্ষে আন্তঃবিভাগের বেশ কয়েকটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে দেশের উন্নয়ন। বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি হচ্ছে সন্ত্রাস আর গ্রেনেড হামলা করা। তারা মানুষের উন্নয়ন চায় না তারা মানুষকে পুড়িয়ে মারে। তারা দেশের স্বাধীনতাও চায়নি।
তিনি বলেন, বিএনপি অপপ্রচার ও মিথ্যা কথার রাজনীতি করে। তাদের কাজই হলো মিথ্যাকে সামনে এনে মানুষকে বিভ্রান্তি করা। সামনে জাতীয় নির্বাচন- দেশের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা আর বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় আনতে চায় না।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন আড়াই হাজার নতুন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এ পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০০-এর মতো রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মুখে সরকারের পক্ষে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করা সম্ভব নয়। এজন্য দরকার সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মশা নিধনের কার্যক্রম কয়েক মাস করলে চলবে না। সারা বছর মশা নিধনের কার্যক্রম চালাতে হবে। তবেই মশা নিধন করা সম্ভব হবে। এখনো মশা বাড়ছে, তাই রোগীও বাড়ছে। এতে মৃত্যুও বাড়ছে। যে পর্যন্ত মশা না কমবে, সে পর্যন্ত মৃত্যুও কমবে না। অন্য দেশেগুলো ভালো করে স্প্রে করেছে ও সারা বছর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করছে ফলে ওই সব দেশে মশাও কম। এছাড়া আক্রান্ত ও মৃত্যুও কম।
মশা নিধনের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, মশার ওষুধে মশা মরে না, কিছুক্ষণের জন্য নির্জ্জীব হয়ে পড়ে থাকে। এতে মশা মরছে না, যে কারণে ওই মশা আবার উড়ে গিয়ে মানুষকে কামড়ায় ও মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এজন্য মশার ওষুধ পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের পুরুষ ও নারী রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখরব নেন।
তিনি ডাক্তার ও নার্সদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ভালো করে সেবা দিন। আপনাদের সেবার ওপর নির্ভর করবে এ হাসপাতালে মানোন্নয়ন।
কর্নেল মালেক মেডিকেল হাসপাতাল কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- সিভিল সার্জন ডাক্তার মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহসীন মৃধা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, শিশু বিভাগের অধ্যাপক নাজমা বেগম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন প্রমুখ।