সম্পত্তির দাম বাড়ানোর মামলায় বড় ধাক্কা খেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্কে তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাংক ও বিমায় নিজের সম্পত্তির দাম বাড়িয়ে দেখিয়েছেন তিনি। মূলত ঋণ পাওয়ার সুবিধার জন্য তিনি এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিউইয়র্কের আদালতে এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, মামলাটির শুনানি হবে, অর্থাৎ মামলাটিকে আমলে নিয়েছে আদালত। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে নিউইয়র্কে ব্যবসা করার অধিকার হারাতে পারেন এই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আগামী সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ৩৫ পৃষ্ঠার মন্তব্যে নিউইয়র্ক আদালতের বিচারক আর্থার এনগোরোন বলেন, ট্রাম্প কাগজপত্রে জালিয়াতি করেছেন।
‘নিজের ব্যবসার জন্য ট্রাম্প যে কাগজপত্র তৈরি করেছেন, তাতে স্পষ্ট গণ্ডগোল আছে’, বলেন এই বিচারক।
আর্থার এনগোরোন আরও বলেন, ‘ভাড়ার জন্য রেগুলেটেড অ্যাপার্টমেন্ট এবং আনরেগুলেটেড অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য একই। রেস্ট্রিক্টেড জমি ও আনরেস্ট্রিক্টেড জমির মূল্যও একই। এ কেবল কল্পকাহিনীতেই সম্ভব, বাস্তব জগতে নয়।’
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এতে বলা হয়েছিল, ব্যাংকে ও বিমা সংস্থাকে ট্রাম্প নিজের সম্পত্তির যে হিসাব দিয়েছেন, তাতে তার মূল্য অন্তত দুই দশমিক দুই তিন বিলিয়ন ডলার বেশি দেখানো হয়েছে। লোন পেতে সুবিধা হবে বলেই এভাবে নিজের সম্পত্তির মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়েছেন ট্রাম্প, যা বেআইনি।
আগামী সপ্তাহে দোষী প্রমাণিত হলে ট্রাম্পের বেশ কিছু ব্যবসার লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। নিউইয়র্ক থেকে তাকে ব্যবসা গোটাতে হতে পারে। তবে এ মামলার জন্য আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ার দৌড়ে আছেন ট্রাম্প। দোষী প্রমাণিত হলেও তিনি নির্বাচনে লড়তে পারবেন।