ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় কিরকুক শহরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর কারফিউ জারি করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী। কিরকুক শহরের সঙ্গে এরবিলের সংযোগকারী মহাসড়কটি পুনরায় চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেছে কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির (কেডিপি) সমর্থকরা। বিক্ষোভ চলাকালে একজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি বন্ধ করে দেয় আরব সম্প্রদায়ের লোকজন। এ নিয়ে আরব ও কুর্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় কিরকুকে কারফিউ জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী কারফিউ জারির নির্দেশনার পাশাপাশি দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যাপক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
কিরকুকে বিবদমান সবপক্ষকে সহিংসতা এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে স্থানীয় সরকার, নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে জানা গেছে, মহাসড়কটি ইরাকি তুর্কমেনরা বন্ধ করে দিয়েছিল। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শহরটিতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারী ঢিল ছোড়ার পাশাপাশি সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে। পুলিশ তাদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। কয়েকজন নিরাপত্তা সদস্য আহত হন।
একজন প্রবীণ কুর্দি নেতা বলেছেন, কিরকুক থেকে এরবিল পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রেখেছে দাঙ্গাকারীরা। তারা এখানে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে।