ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা ৫০০ রুপি বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সোমবার (২১ আগস্ট) নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এদিন অল ইন্ডিয়া ইমাম মুয়াজ্জিন স্যোশাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন রাজ্যের ছোট-বড় সংগঠনগুলোকে একত্রিত করে সমাবেশের আয়োজন করে। অবশ্য ভাতা বাড়ানোর তালিকায় শুধু ইমাম-মুয়াজ্জিন নয়, রাজ্যের পুরোহিতরাও রয়েছেন। সবার জন্য সমান হারে ভাতা বাড়িয়েছেন তিনি।
সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্য। তার মধ্যেই ইমামদের জন্য ৫০০ এবং মুয়াজ্জিনদের জন্যও ৫০০ রুপি বাড়ালাম। আর পুরোহিতদের জন্যও ৫০০ রুপি বাড়ানো হলো।
তিনি আরও বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিন ছাড়া যে কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যারা রয়েছেন, তারা যদি লোন নিয়ে ব্যবসা করতে চান ৫ লাখ রুপি গ্যারেন্টার আপনাদের দেবে রাজ্য সরকার। এছাড়া মেয়েরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। আমরা আবার ঘর করে দেব।
পশ্চিমবঙ্গে এর আগে মুয়াজ্জিনরা পেতেন ১০০০ রুপি এবং ইমামরা পেতেন আড়াই হাজার রুপি। ভাতা বাড়ানোর পর তারা এখন থেকে যথাক্রমে দেড় হাজার ও তিন হাজার রুপি পাবেন। অপরদিকে পুরোহিতরাও ৫০০ রুপি বাড়ায় দেড় হাজার টাকা পাবেন।
এদিন রাজ্য সরকারের কাছে ভাতা বাড়ানোর দাবি করেন আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকি। অন্য রাজ্যের ভাতার পরিমাণ বেশি উল্লেখ করে তিনি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। সেখানে মুয়াজ্জিনদের জন্য আট হাজার ও ইমামদের জন্য নূন্যতম ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি।
সঙ্গেও এও জানান, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশছোঁয়া। এই অবস্থায় ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জীবন ধারণ করা কঠিন। অন্য রাজ্যে যে পরিমাণ অর্থ ভাতা দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গে তা যেন ভিক্ষাদানে পরিণত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দিল্লিতে ইমামদের বেতন ১৮ হাজার রুপি। এছাড়া হরিয়ানায় ১৬ হাজার, তেলাঙ্গানাতে ১২ হাজার ও গুজরাতে ১২ হাজার রুপি পেয়ে থাকেন ইমামরা।