পিএসজিতে আর মন বসছিল না নেইমারের। তিনি নিজে থেকে ছাড়তে চাইছিলেন ক্লাব। সেজন্য তিনি চেষ্টা করেছিলেন ইংলিশ ক্লাবে যেতে। চেলসির সঙ্গে কথা প্রায় পাঁকাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলিয়ান তারকাকে দলে নেয়নি ব্লুজরা। এক তরুণের কথায় সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা।
সেই তরুণ ফুটবলারের নাম মাইখাইলো মুদ্রিক। ইউক্রেনিয় এই ফুটবলারই চেলসিকে বোঝাতে সমর্থ হয়েছিলেন, যেন নেইমারকে চেলসিতে না নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন দলবদল বিষয়ক নির্ভরযোগ্য সূত্র ও ইতালিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো।
ভিডিওতে রোমানো ব্যাখ্যা করেছেন, চেলসিতে খেলা ইউক্রেনের তরুণ ফুটবলার মুদ্রিক কেন নেইমারকে চেলসিতে সই করাতে সম্মতি দেননি।
রোমানো বলেছেন, ‘ইংলিশ ক্লাব চেলসির বড় বিনিয়োগ ছিল মুদ্রিকে। তাকে অতীতে নেইমারের সঙ্গে তুলনা করা হত। তাই ব্রাজিলয়ান তারকাকে চেলসিতে আনা মানে নিঃসন্দেহে মুদ্রিকের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। নেইমারের মতো প্রতিভাকে না বলা সহজ হবে না। তবে সাম্প্রতিককালে তিনি পিএসজিতে ঠিক সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না।’
রোমানো যোগ করেছেন, ‘চেলসিকে জুনে পিএসজি এই সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি সেটি। তারা মুদ্রিকের মতো তরুণের দিকে বিনিয়োগ দেয়। কারণ তার পেছনে অনেক অর্থ খরচ করেছে চেলসি। যাকে ঘিরে অনেক সূদূর প্রসারি ভাবনা ক্লাবটির। যদি নেইমারকেও নেওয়া হয়, তবে আর মুদ্রিককে গড়ে তোলা হবে না।’
রোমানো তার ভিডিওতে আরও বলেছেন, ‘নেইমারকে দলে নেওয়ার সুযোগ ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো সচেতনভাবেই প্রত্যাখান করেছিল বলে আমি মনে করি। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে তার পারফরম্যান্স হতাশার ছিল। তাই তার নাম যেকোনো জায়গায় রাখাটা ছিল সহজ। তবে এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি, নেইমারের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটি ও ম্যানেচেস্টার ইউনাইটেড কোনো যোগাযোগই করেনি।’
বার্সেলোনায় ফেরার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে রোমানো বলেন, ‘কাতালান ক্লাবটি তাকে সত্যিই ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান কোচ জাভি। তিনি তার উপস্থিতি নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। আর তাই আলোচনা অগ্রসর হয়নি। কিন্তু বার্সা সভাপতি জোয়ান লাপোর্তা খুব করে চেয়েছিলেন, ক্যাম্প ন্যুতে তাকে ফেরাতে।’
নেইমার শুক্রবার সৌদি আরব যাবেন জানিয়ে রোমানো সেই ভিডিওতে বলেছেন, ‘আল হিলালের সঙ্গে নেইমারের চুক্তিটি হয়ে গেছে। মেডিকেল টেস্টও সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরও শেষ। এবার শুধুই আনুষ্ঠানিক বিবৃতির অপেক্ষা। তবে নেইমার পরিবার নিয়ে সৌদি আরব যাবেন আগামী শুক্রবার। পরে তাকে আল হিলালের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।’