অর্থ উপার্জন করে পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য নয়, বখাটে ছেলেদের সাথে মিশে ছেলের ভবিষ্যত যাতে অন্ধকারাচ্ছন্ন না হয় সেজন্য স্বামীকে বলে তড়িঘড়ি করে ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ছেলেকে পাঠিয়ে দেন মা। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! প্রবাস জীবনের মাত্র আট মাসের মাথায় লাশ হয়ে ফিরছে পরিবারের একমাত্র সন্তান সাদমানকে।
শনিবার(২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটার দিকে আবুধাবিতে কর্মস্থলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় রাউজানের প্রবাসী শাহারিয়ার সাদমান (২২) এর। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। মা-বাবার একমাত্র সন্তান হওয়ায় জন্মের পর থেকে সবার আদর-আহ্লাদে বেড়ে উঠেছে সে। তার এমন আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়টি শুধু পরিবারে নয় এলাকাজুড়ে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। সবার মুখে মুখে ফিরছে, এমন ভালো ছেলে খুব কম হয়। তার অমায়িক ব্যবহার ভুলতে পারছেনা কেউ।
নিহতের স্বজন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, কর্মস্থলে কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাদমানের। সে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিরামিষপাড়া গ্রামের সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী জানে আলমের একমাত্র সন্তান। স্থানীয়রা জানান, মা-বাবার একমাত্র সন্তান সাদমান পরিবারের সাথে নগরীর লালখানবাজার এলাকায় থাকতেন। স্থানীয় কিছু বখাটে ছেলেদের সাথে আড্ডায় মিশতে দেখে ভিসা দিয়ে ছেলেকে আবুধাবিতে নিয়ে যান পিতা জানে আলম ।
নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। নিহতের স্বজনরা জানান, আগামী কিছুদিনের মধ্যে সাদমানের মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।