আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরও একবার ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশে-দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, দলের অন্য নেতাদের দেশে-দেশে পাঠাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে লবিং করছেন। কিন্তু এবার কোনও লবিংয়ে কাজ হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে দুদু বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। ডাক্তার বলেছে- বাংলাদেশে তার আর চিকিৎসা নাই। তারপরও তাকে এই সরকার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছে না। কয়েকজন এমপি ও মন্ত্রী যারা দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারাও বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। কিন্তু দেশনেত্রীকে যেতে দিচ্ছে না এই সরকার।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনের মতো বেহায়াপনা নির্বাচন আর এদেশের মানুষ হতে দেবে না। আগের দুইবারের মতো সাজানো-গোছানো নির্বাচন করে আপনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। পশ্চিমা দেশগুলো আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অতি সম্প্রতি ভারত যেভাবে কথা বলছে তাতে মনে হচ্ছে ভারতও আপনার সঙ্গে নেই।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, দেশের জনগণ, পেশাজীবী, রাজনীতিবিদরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে- আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। এটা যদি আপনি বুঝতে সক্ষম না হন তাহলে বিদায়টা খুব ভালোভাবে হবে, এটা এখন আমরা বলতে পারব না।
দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুদু বলেন, এই অপদার্থ সরকারকে পদত্যাগ করতে যে আন্দোলন চলছে সেটা আরও জোরদার করতে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। দেশের এই অবস্থার একমাত্র মীমাংসা রাজপথে হতে পারে। যা আগে ১৯৯০ হয়েছে। ১৯৮৯ তে হয়েছে, আশা করি এবারও হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে আর কোনও নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা যে ওয়াদা করেছিলেন দশ টাকা কেজি চাল খাওয়াবেন। কৃষকের ঘরে-ঘরে সার পৌঁছে দেবেন সেটা দিতে পারেন নাই। ঘরে-ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন কিন্তু শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি না পেয়ে অনেকে আত্মহত্যা করছে। একটা কঠিন সময় পার করছে দেশ।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক প্রমুখ।