রাজধানীর সেন্ট্রাল হসপিটালে নরমাল ডেলিভারি করাতে এসে প্রাণ হারানো মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা প্রায় দুই মাস পর আবারও ব্যক্তিগত চেম্বার শুরু করতে যাচ্ছেন। তবে এবার আর সেন্ট্রাল হসপিটালে নয়, চেম্বার করবেন রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে।
রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে ডা. সংযুক্তা নিজেই চেম্বার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কাল (সোমবার) বিকেল থেকে আমি ইমপালস হাসপাতালে চেম্বার শুরু করছি।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ডা. সংযুক্তা জানান, আমার নিজস্ব হসপিটাল (অন্যতম ডিরেক্টর) ইমপালস হাসপাতালে চেম্বার শুরু করতে যাচ্ছি। আপনারা ইতোমধ্যে জানেন, ইমপালস হাসপাতাল ব্যথাহীন প্রসবের জন্য বিখ্যাত। কারণ এই হাসপাতালে ব্যথাহীন প্রসবের জন্য বিদেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তারদের নিয়ে গঠিত শক্তিশালী টিম রয়েছে। শিগগিরই দেখা হবে।
গত ৯ জুন অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালেই ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একই সঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে ১০ জুন বিকেলে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখিও।