সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতসহ শরিক দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ। রাজধানীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখা গেলেও, এ সময় গণপরিবহন কম চলতে দেখা গেছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা। তবে এর মধ্যে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে মেট্রোরেল।
এর আগে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চললেও রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়েছে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। অবরোধে বাসে বা সড়ক পথে যাতায়াতের ঝুঁকি থাকলেও মেট্রোরেলে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তাই এ অবরোধে রাজধানীবাসীর ‘স্বস্তির বাহন’ হয়ে উঠেছে মেট্রোরেল।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে ছেড়ে আসতে শুরু করে। এ সময় রেলের প্রতি বগি কানায় কানায় ভরে যায়। যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই। বসার স্থান না পেয়ে যাত্রীরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে এ সময় অনেক যাত্রীকে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায়। নারী যাত্রীদের জন্য আলাদা বগি থাকলেও তারা জায়গা না পেয়ে পুরুষদের সঙ্গে উঠে পড়েন। এসময় তাদের ওই বগিতে যেতে বলেন পুরুষ যাত্রীরা। জবাবে তারা বলেন, এ ভিড়ে ওই বগিতে যাওয়া সম্ভব না। এছাড়া বগিতেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তবে ফার্মগেট স্টেশনে আসার পর ভিড় কিছুটা কমতে থাকে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেট্রোরেলের যাত্রী তুহিন শেখের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, অবরোধে অফিস খোলা রয়েছে। তাই সড়ক পথে ঝুঁকি না নিয়ে মেট্রোরেলে যাচ্ছি। তবে এমন ভিড় শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের যেসব দেশে মেট্রোরেল রয়েছে সব দেশেই এমন ভিড় হয়। কারণ এটা আধুনিক গণপরিবহন। অফিস টাইমে এমন ভিড় স্বাভাবিক। জাপানের মেট্রোরেলে তো যাত্রী তুলে দরজা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য পুশম্যান থাকে। এখন এ ভিড় আমাদের দেশের মেট্রোতে দেখা যাচ্ছে।